Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

প্রশ্নোত্তর (ফাল্গুন ১৪২২ কৃষিকথা)

মো. ফিরোজ
রংপুর

প্রশ্ন : স্ট্রবেরি চাষের জন্য কোন ধরনের মাটি উপযোগী।
উত্তর : স্ট্রবেরি মূলত শীতপ্রধান অঞ্চলের ফসল। ফুল ও ফল আসার সময় শুকনো আবহাওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশের আবহাওয়ায় রবি মৌসুম স্ট্রবেরি চাষের উপযোগী। উপযুক্ত ব্যবস্থাপনায় সব মাটিতেই স্ট্রবেরি চাষ করা যায়। পানি নিষ্কাশনের উপযুক্ত ব্যবস্থা সম্পন্ন উর্বর দো-আঁশ থেকে বেলে দো-আঁশ মাটি স্ট্রবেরির জন্য বেশি উপযুক্ত। মাটির অম্লমান ৫.৬-৬.৫ স্ট্রবেরি চাষের জন্য উত্তম এবং জৈব পদার্থ কমপক্ষে ৩% থাকা উচিত।


মো. জমির শাহ
দিনাজপুর

প্রশ্ন : পটোল গাছের কাণ্ড ও পাতায় কালো বা বাদামি রঙের ক্ষত হয় এবং পরে কাণ্ড ও পাতা শুকিয়ে যায়। প্রতিকার জানাবেন।
উত্তর : এ রোগটি পটোল গাছের ছত্রাকজনিত রোগ। এ রোগ দ্বারা আক্রান্ত গাছ নষ্ট বা পুড়ে ফেলতে হবে। রোগমুক্ত গাছ থেকে শাখা কলম (কাটিং) সংগ্রহ করা। শাখা কলম কার্বেনডাজিম (ব্যাভিস্টিন) ২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে শোধন করা। রোগ দেখা দিলে প্রতি লিটার পানিতে টপাসন এম ২ গ্রাম ০.৫ মিলি প্রোপিকোনাজল (টিল্ট) বা ২ গ্রাম ডাইথেন এম ৪৫ স্প্রে করতে হবে।


রুবেল ইসলাম
দিনাজপুর

প্রশ্ন : কচি লাউয়ের নিচের দিকে পচন হয়। ধীরে ধীরে পুরো লাউটা পচে যায়। কী করণীয়?
উত্তর : সাধারণত অম্লীয় মাটিতে ক্যালসিয়াম এর অভাবে এ জাতীয় রোগ দেখা যায়। এজন্য যা করণীয় তা হলোÑ
০ পরিমিত সেচ প্রদান করা,
০ প্রতি গর্ত বা পিট এ ৫০ থেকে ৮০ গ্রাম জিপসাম সার প্রয়োগ করা,
০ পরবর্তীতে জমি প্রস্তুতের সময় মাটি পরীক্ষা করে সুষম সার ব্যবহার করা,
০ অম্লীয় মাটিতে শতাংশ প্রতি চার কেজি ডলোচুন প্রয়োগ করা,
০ একই জমিতে বার বার একই জাতীয় সবজি আবাদ না করা।

 

দেবেশ রায়
ঠাকুরগাঁও

প্রশ্ন : আম গাছে ছোট ছোট পোকা দেখা যায় এবং মুকুল ঝরে যায়। কী করণীয়?
উত্তর : সাধারণত আমগাছে হপার পোকার আক্রমণ বেশি হয়, যা মুকুলের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এ ছোট ছোট হপার পোকা এবং অ্যানথ্রাকনোজ রোগের আক্রমণে মুকুল ঝরে যায়। এর জন্য যা করণীয় তা হলো-
০ মুকুল আসার পর এবং ফুল ফোটার আগে অর্থাৎ পুষ্পমঞ্জরির দৈর্ঘ্য যখন ৫-১০ সেমি. হয় তখন প্রতি লিটার পানিতে সাইপারমেথ্রিন ১০ ইসি (রিপকর্ড/সিমবুশ/ফেনম) ১ মিলি. এবং টিল্ট ২৫০ ইসি ০.৫ মিলি. হারে একবার এবং তার একমাস পর আরেক বার গাছের পাতা, ডালপালা মুকুল ভালোভাবে ভিজিয়ে স্প্রে করা।

 

আইয়ুব আলী
ফুলবাড়ি, কুড়িগ্রাম

প্রশ্ন : বেগুন গাছে পোকার আক্রমণের কারণে গাছের ডগা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রতিকার জানাবেন।
উত্তর : ১. বিষাক্ত কীটনাশকের প্রয়োগ বন্ধ করে সীমিত ব্যবহার করতে হবে।
২. আক্রান্ত ডাল নষ্ট করতে হবে।
৩. সবিক্রন ২৫০ ইসি ২ মিলি. লিটার পানিতে মিশিয়ে অথবা রিপকর্ড ১ মিলি. লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।

 

কামাল
নীলফামারী

প্রশ্ন : আমার ক্ষেতের ভুট্টা গাছের বয়স ১.৫ (দেড়) মাস কিন্তু গাছের বাড়-বাড়তি তেমন নেই। করণীয় কী?
উত্তর : ১. আগাছা ভালোভাবে পরিষ্কার করুন।
২. জমি ও মাটির প্রকারভেদ ৩টি বার সেচ দেয়া প্রয়োজন। বীজ গজানোর ৩০-৩৫ দিন পর প্রথম সেচ এবং দ্বিতীয় সেচ ৬০-৬৫ দিন (ফুল আসার আগে) পর দিতে হবে। জমিতে রসের পরিমাণ কম হলে তৃতীয় সেচ ৮৫-৯০ দিন পর (দানা বাঁধতে শুরু হলে) দিতে হবে।
৩. প্রতি বিঘায় ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি, জিপসাম, জিংকসালফেট, বোরিক এসিড এবং গোবর সার উপযুক্ত পরিমাণে প্রয়োগ করলে গাছের বাড়-বাড়তি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

 

মো. ওবাইদুল
বগুড়া

প্রশ্ন : গবাদিপশুর কৃমি দমনে কী করণীয়?
উত্তর : গবাদিপশু যেমন গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়ার বিভিন্ন ধরনের রোগের মধ্যে পরজীবী একটি ক্ষতিকর রোগ। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বেই এ রোগের প্রাদুর্ভাব রয়েছে। উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ু পরজীবীর বংশ বিস্তারে সহায়ক বলে বাংলাদেশের গবাদিপশুতে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি এবং এ রোগের কারণে প্রতি বছর প্রচুর অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়। গবাদিপশুতে পরজীবীর ডিম বা লার্ভা খাদ্যের সাথে বা দেহ ত্বক ভেদ করে দেহাভ্যন্তরে প্রবেশ করে।


অনেক সময় মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় পশু পরজীবী দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। পরজীবী গবাদিপশুর জন্য সর্বদাই ক্ষতিকর। এরা পশুর দেহের রক্ত শুষে খায় এবং খাদ্য ও পুষ্টির মধ্যে ভাগ বসায়। এছাড়া, পরোক্ষভাবেও এসব পরজীবী বিভিন্ন পরিপাকযোগ্য খনিজ শুষে নেয়। এর ফলে পশুর স্বাস্থ্য ও উৎপাদন ক্ষমতা দিন দিন হ্রাস পায়। এ পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য কৃমিনাশক প্রয়োগের মাধ্যমে পরিপাকতন্ত্রের অন্যান্য উপকারী অনুজীব ধ্বংস না করে পরজীবীর ধ্বংস সাধনই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা।


কৃমিনাশক প্রয়োগ পদ্ধতি
ভেটেরিনারি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরজীবীনাশক যে কোনো উৎকৃষ্টমানের ওষুধ বাজার থেকে সংগ্রহ করতে হবে। কৃমিনাশক প্রয়োগের জন্য বছরে দুইটি  কৌশলগত মাত্রা প্রত্যেকটি পশুর জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। একটি মাত্রা শরতের শেষে (নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে) অন্যটি বর্ষার শুরুতে (মে-জুন মাসে) প্রয়োগ করতে হবে।


কৃমিরোগ প্রতিরোধের কর্মপন্থাগুলো :
০ পরজীবী বহুল এলাকায় প্রথমে সব গবাদিপশুকে পরজীবীর জন্য সর্বাত্মক চিকিৎসা (
Mass treatment) দিতে হবে।
০ এর পর নিয়মিতভাবে বছরে অন্তত দুইবার বর্ষার প্রারম্ভে (মে-জুন) এবং শরতের শেষে (নভেম্বর-ডিসেম্বর) গবাদি পশুতে কৃমিনাশক প্রয়োগ করতে হবে।
০ জলজ স্যাঁতসেঁতে এলাকায় গবাদিপশু চরানোর বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
০ সংক্রমণক্ষম পরজীবীর লার্ভা দূরীকরণে কাটা ঘাস বা জলজ উদ্ভিদ ভালোভাবে ধৌত করতে হবে। খড় বা সাইলেজ তৈরি করে খাওয়ালে ভালো ফল পাওয়া যায়।
০ রৌদ্রোজ্জ্বল সকালে মাঠে বা অন্য এলাকায় এক সাথে গবাদিপশু চরানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
০ বাংলাদেশের সেসব এলাকায় ব্যাপক পরজীবী আক্রমণের আশংকা আছে সেখানে গবাদিপশুর জন্য আবদ্ধ পালন (
Stall-Feeding) পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে।
০ গবাদিপশুর গোবর স্বাস্থ্যসম্মতভাবে ব্যবহার করতে হবে।
০ গবাদিপশুর খামারের পাশে বা গ্রামে যে সব জলাবদ্ধ এলাকা রয়েছে সেখানে শামুক নিধনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা বা সেসব এলাকায় গবাদিপশু চরানো বন্ধ রাখার জন্য বেড়া দিয়ে ঘিরে দেয়া যেতে পারে।
০ গবাদিপশুর স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য খাবারের পুষ্টিমান বৃদ্ধি করতে হবে।

 

উপকারিতা
বেশিরভাগ কৃমিনাশকই ব্যয়বহুল নয়। পশুতে কৃমিনাশক প্রয়োগ করলে তা পশুপালনকারীর জন্য খুবই সুফল বয়ে আনে। দেখা গেছে ব্যয়ের তুলনায় লাভের আনুপাতিক হার ১:১০ অর্থাৎ কোনো কৃষক যদি কৃমিনাশকের জন্য ১ টাকা ব্যয় করে তবে সে দুধ ও মাংস বাবদ ১০ টাকা আয় করবে। পরিবেশের ওপর কোনো প্রকার বিরূপ প্রভাব নেই বরং কৃমিনাশক পরিবেশকে পরজীবীর ডিম ও লার্ভা মুক্ত রেখে পশু ও মানুষকে পরজীবী মুক্ত রাখতে সহায়তা করে।


সংরক্ষণ ও সতর্কতা
সঠিক মাত্রায় কৃমিনাশক প্রয়োগ করা হলে এর দ্বারা কোনো ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে না। এটা মানুষের জন্য একটি বিষাক্ত ওষুধ। সুতরাং অবশ্যই শিশুদের নাগালের বাইরে রাখতে হবে।


কাক্ষিত ফলাফল
পরজীবী মুক্তকরণের এ কৌশলটি নিয়মিতভাবে প্রয়োগের মাধ্যমে পশুকে পরজীবী মুক্ত রাখলে এদের উৎপাদন ক্ষমতা বেড়ে যায়, যা কৃষকের প্রান্তিক আয়কে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। ফলে কৃষকের জীবনযাত্রার মান উন্নত হওয়ার মাধ্যমে তাদের আর্থসামাজিক অবস্থান সুদৃঢ় হয়।


ইসমাইল হোসেন
পাবনা

প্রশ্ন : পুকুর তৈরির সময় এবং মাছ থাকা অবস্থায় সার প্রয়োগের মাত্রা কেমন হবে?
উত্তর : পুকুরে মাছের প্রাকৃতিক খাবার উৎপাদনের জন্য সাধারণত সার ব্যবহার করতে হয়। তাছাড়া পানির গুণাগুণ রক্ষায় প্রয়োজনমতো সার ব্যবহার করতে হয়।
পুকুর তৈরির সময় : প্রতি শতাংশে ইউরিয়া ১৫০ গ্রাম, টিএসপি ১০০ গ্রাম, এমপি ২৫ গ্রাম, গোবর ৮-১০ কেজি অথবা কম্পোস্ট সার ১০-১৫ কেজি।
মাছ থাকা অবস্থায় : প্রতি শতাংশে ইউরিয়া ১০-২০ গ্রাম, টিএসপি ৫-১০ গ্রাম, গোবর ৪-৫ কেজি অথবা কম্পোস্ট সার ৮-১০ কেজি।
মজুদপূর্ব অবস্থায় : প্রতি শতাংশে ইউরিয়া ১০০ গ্রাম, টিএসপি ৫০ গ্রাম, গোবর ৮-১০ কেজি।
মজুদ পরবর্তী অবস্থায় : প্রতি শতাংশে ইউরিয়া ১০ গ্রাম, টিএসপি ৬ গ্রাম, গোবর ১০০-১৫০ গ্রাম হারে ২ দিন পর পর পানির রঙের ওপর  নির্ভর করে প্রয়োগ করতে হবে।

 

মো. মিনহাজ
ময়মনসিংহ

প্রশ্ন : মাছ চাষের আদর্শ পুকুরের গভীরতা এবং আয়তন কত হওয়া বাঞ্ছনীয়?
উত্তর : বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষে পুকুরের আয়তন ১০ শতক থেকে ১০০ শতক (এক একর) হলে ভালো হয়। একটি অত্যধিক বড় আয়তনের পুকুরের চেয়ে এক সঙ্গে কয়েকটি ছোট পুকুর হলে বেশি ভালো হয়। এতে সার্বিক ব্যবস্থাপনা সহজ হয়। পুকুরে পানি ব্যবস্থাপনার সুবিধা থাকতে হবে। পানির গভীরতা সাধারণত ৫-৭ ফুট হতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে পুনরায় পানি সরবরাহ করতে হবে। দুই বা ততোধিক প্রজাতির মাছের চাষ করা উত্তম।


আতিকুল আলম
রাজশাহী

প্রশ্ন : ঘের এর প্রস্তুত প্রণালি সম্পর্কে জানতে চাই।
উত্তর : ঘের শুকিয়ে তলদেশের পচা কাদা অপসারণ এবং তলদেশ সমান করতে হবে। পাড় উঁচু করে বাঁধতে হবে। ঘেরের পাড়সহ তলায় চুন ভালোভাবে ছিটিয়ে দিতে হবে প্রতি শতকে ১ কেজি হারে। ঘেরের তলদেশ চাষ দিয়ে আবর্জনা পরিষ্কার করতে হবে। ছোট মেসসাইজের লাইন জাল দিয়ে ঘেরের চারপাশে বেড়া (৩ ফুট উঁচু) দিতে হবে। পানি প্রবেশ পথ ও জরুরি পানি নির্গমন পথ করতে হবে এবং তাতে স্ক্রিন বা বানা (বাঁশের পাটা ও নাইলনের জাল দিয়ে তৈরি) দিতে হবে। চুন প্রয়োগের ৫-৭ দিন পরে প্রয়োজনমতো পানি প্রবেশ করিয়ে সার প্রয়োগ করতে হবে ইউরিয়া ১৫০-২০০ গ্রাম/ শতক, টিএসপি ৭৫-১০০ গ্রাম/শতক হারে। এরপর ব্লিচিং পাউডার সমস্ত ঘেরে ছিটিয়ে দিয়ে পানি জীবাণুমুক্ত করতে হবে। অনেক সময় ঘেরের এককোণায় বাঁশের ফ্রেমের সাথে একটি নার্সারি তৈরি করতে বলা হয়। হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা বা গোবর ব্যবহার করা যাবে না।

 

কৃষিবিদ মোহাম্মদ মারুফ*
*সহকারী তথ্য অফিসার (শস্য উৎপাদন), কৃষি তথ্য সার্ভিস, খামারবাড়ি, ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon